আয়ুর্বেদ শাস্ত্র হলো এক ধরণের চিকিৎসা শাস্ত্র। আমরা সাধারণত চিকিৎসা বলতেই বুঝি মেডিকলে কলেজ, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নেয়া চিকিৎসা ব্যবস্থা। তবে এর বাইরেও যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে তা আমরা অনেকেই জানি না, কেউ কেউ বুঝি না।
তবে অনেক বড় একটি অংশ এটি মানিও না। এই চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণই প্রাকৃতিক উপায়, উপকরণ ব্যবহারে বহুল চর্চিত একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা। ভারবর্ষেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের উদ্ভব হয়। আয়ুর্বেদ তত্ত্ব এবং অনুশীলনকে ছদ্মবিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
শাব্দিক বিশ্লেষণে আয়ু শব্দের অর্থ হলো জীবন এবং বেদ শব্দের অর্থ হলো বিজ্ঞান। তাহলে আয়ুর্বেদ শব্দের অর্থ দাড়ায় জীবন বিজ্ঞান। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থা বর্তমানে হারবাল নামে বেশি পরিচিত।
৫০০০ বছর আগে এই উপমহাদেশে উদ্ভাবিত আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মূল ভিত্তি ছিলো গাছ-গাছালির ব্যবহারে শরীরকে নিরোগ রাখা। এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়মুক্ত। তবুও হারবাল বা আয়ুর্বেদ শাস্ত্র নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক নেতিবাচক ভাবনা রয়েছে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রকে প্রকৃত অর্থে চিকিৎসা ব্যবস্থাই বলা যায় না। মূলত এই চিকিৎসা পদ্ধতি অসুস্থ মানুষের চেয়ে সুস্থ মানুষের জন্য বেশি দরকার। এই শাস্ত্রের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে নিরোগ রাখা। একজন মানুষ যদি নিরোগ থাকে তবে তার চিকিৎসার কী দরকার আছে?
একজন মানুষ অসুস্থ হলে আয়ুর্বেদ যতটা কাজ করবে তার চেয়ে বেশি কাজ করে সুস্থ শরীরে। তবে এই ব্যবস্থার কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কার্যকর এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
আবার এই চিকিৎসার কিছু ওষুধে সীসা, পারদ ও আর্সেনিকের মতো মারত্মক ক্ষতিকর উপকরণ রয়েছে যা মানুষের শরীরের জন্য বিপজ্জনক।