ছাত্র-জনতার গণহত্যার দায় মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ানো পুলিশ বাহিনীর জন্য আমদানি করা হচ্ছে ভারতের গাড়ি। আমদানি করা এসব গাড়ি তৃতীয় গ্রেডের এবং মাহিন্দ্র ব্র্যান্ডের। এ নিয়ে দেশজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। নিম্নমানের এসব গাড়ি কিনে শুধুই অর্থের অপচয় হিসেবেই দেখছেন নেটিজেনরা।
পুলিশের কাজে গতি বাড়ানোর জন্য এসব গাড়ি আমদানি করার কথা থাকলেও আধুনিক বিশ্বে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সেবার মান খারাপ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে ডিএমপির ৫০ থানায় যুক্ত হচ্ছে ভারতের গাড়ি মাহিন্দ্রা বোলেরোর ও ইসুজু ডি ম্যাক্সের গাড়ি।
এ খবর প্রচারের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার জন্ম দেয়। সচেতন জনতার দাবি খুব দ্রুত যেন এসব গাড়ি ক্রয়ের চুক্তি বাতিল করা হয়। অপরপক্ষে চীন কিংবা জাপানের মতো উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে গাড়ি ক্রয়ের পরামর্শ দেন তরা।
আরও দেখুন
টিকটকার আমেনা হত্যার রহস্যজট খুললো
৬ লাখ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকা
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
যারা সীমান্তে পাখির মতো মানুষ মারছে, পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের কাছ থেকে গাড়ি কেনায় সমালোচনা বেশি রয়েছে। এছাড়াও মাহিন্দ্রার গাড়ি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অকেজো হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, মাহিন্দ্রার গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ খরচও তুলনামূলক অনেক বেশি।
পুলিশের ক্রয় সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২-২৩ ও ২৩-২৪ অর্থবছরে কেনাকাটা স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনের আগে ২০০ ডাবল কেবিন পিকাপ কেনার সম্মতি পাওয়া গেছে। জনবলের তুলনায় পুলিশে গাড়ির সঙ্কট আছে ৪ হাজার ৫২৯টি।