“চড়ুইভাতি রেস্তোরা” নিকলী হাওর ভ্রমণে আস্থার নাম

নিকলী হাওর, বর্ষায় ভ্রমণের এক নন্দিত স্থানের নাম। গেলো দশকে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বাঙালির ভ্রমণের তালিকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে নিকলী হাওর। বেড়াতে গেলে থাকা, খাওয়া এবং বাহন ব্যবস্থা নিয়ে মানুষকে একটু বেশিই ভাবতে হয়। নিকলী হাওরে খাওয়ার জন্য চড়ুইভাতি একটি আস্থার নাম।

খাদ্যে ভেজাল নেই, দামের উর্ধ্বমুখিতা নেই, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ আছে, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা আছে আর জলের সাথে মিতালী আছে। মূল বাঁধের পাশেই রয়েছে চড়ুইভাতি রেস্তোরা। বাঁধের পাশেই দিনরাত গর্জে উঠছে কখনো মৃদু কখনো বৃহৎ উর্মিদল।

Choruivati Restaurant Nikli

অদম্য নারী উদোক্তা কামরুন নাহারের হাত ধরেই ৩ বছর পেরিয়ে চতুর্থ বছর গড়াচ্ছে চড়ুইভাতির। দিনের পর দিনের কাস্টমারের ভালোবাসা আর প্রেরণা অঙ্কুর থেকে ধীরে বড় হচ্ছে চারাগাছটি। সেবার সততায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কাস্টমারদের আস্থা। চড়ুইভাতি শুধুই একটি রেস্তোরা নয় এটি যেন একটি রন্ধনকাব্য, একটি বিশুদ্ধ খাবারের ঠিকানা।

Choruivati Restaurant2

কেন আসবেন চড়ুইভাতি রেস্তোরায়?

চড়ুইভাতি রেস্তোরায় আসার অনেক কারণ আছে আবার না আসারও অনেক কারণ আছে। নির্ভেজাল এবং ঘরোয়া খাবার খেতে হলে অবশ্যই আসতে হবে চড়ুইভাতি রেস্তোরায়। তাদের খাবারে কোনরকম রং, ফ্লেভার কিংবা রাসায়নিক ব্যবহার করি না।

চড়ুইভাতি রেস্তোরায় আগে থেকে খাবার রান্না করে রাখা হয় না। তবে অর্ডার করলে আগে থেকেই খাবার রান্না করে রাখা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ২০-৩০ মিনিট সময় দিলেই যে কোন খাবার তাৎক্ষণিক করে দেয় তারা। তবে আসার আধঘণ্টা আগে ফোনে বলে দিলে এসে তৈরি করা খাবার পাওয়া যায়।

Inner

এটি কারও কারও ক্ষেত্রে খারাপ লাগতে পারে তবে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। রেস্টুরেন্টগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাবার রান্না করা থাকে। যদি সব বিক্রি না হয় কেউ কেউ তা পরের দিনে নতুন খাবারের সাথে মিশিয়ে নেয় যা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। চড়ুইভাতি কোন খাবার নষ্ট করে না তাই বাসি খাবারও থাকে না।

সারাদিন ঘুরাঘুরি শেষে আপনি কি খাচ্ছেন, কি খাবেন সেটি দেখারও সময় থাকবে না কারণ পেটে থাকবে প্রচুর ক্ষুধা। সেটি দেখার দায়িত্ব চড়ুইভাতির। একবার যোগাযোগ করেই দেখতে পারেন। হাওরের তাজা মাছ এবং ফ্রেশ খাবার খেতে ০১৮৩২৬৮০৭৭০ নম্বরে ফোনে অর্ডার করে রাখতে পারবেন আগেই।

কিভাবে যাবেন চড়ুইভাতি রেস্তেরায়?

নিকলী হাওরে প্রবেশ করতে অবশ্যই নিকলী বেরিবাধ হয়েই যেতে হবে। বেরিবাধে প্রবেশ করতেই প্রায় ৩শ’ মিটার সামনেই চড়ুইভাতি। গুগল ম্যাপের চড়ুইভাতির লিংকটি নিচে দেয়া হলো।

Choruivati Restaurant

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *