বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিতে এ পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
ট্রাইবুনালের তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল চীফ প্রসিকিউটরের করা আবেদন গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের আবেদন করেন ট্রাইবুনালে।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটেই আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজার নেতৃত্বে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ পর্যন্ত ট্রাইবুনালে ৬০টিরও বেশি অভিযোগ জমা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন সময় সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্ট গণত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এর আগে ছাত্ররা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ডাক দিলে শেখ হাসিনা সরকার ছাত্রদের উপর দমন পীড়ন চালায়। আন্দোন চরম আকার ধারণ করলে শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ছাত্রদের সংঘর্ষে বাঁধে।
পুলিশ-ছাত্র সংঘর্ষে প্রাণ হারায় সাধারণ মানুষসহ অনেক ছাত্র, ছাত্রী। শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল বাহিনীর যৌথ অভিযানে অগণতি ছাত্রের প্রাণহানি ঘটার অভিযোগ রয়েছে। শেষে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ছাত্ররা গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।