পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেয়ায় ৬ লাখ চালকের লাইসেন্স আটকে আছে। বিগত সরকারের আমলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড দেয়ার প্রকল্প হাতে নিলেও তা আর হয়নি। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয়া নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর স্মার্টকার্ড ব্যবস্থাই তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বছরের পর বছর অপেক্ষা করে কার্ড পাচ্ছেন না অনেক চালক। এদিকে লাইসেন্স না থাকায় ভিসা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ যেতে পারছেনা গমনইচ্ছুকরা। পছন্দের ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়াই এমন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি উঠছে।
বিআরটিএ বলছে, নতুন আবেদনকারীরা পাবেন পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) যা স্মার্টকার্ড। পুরনোরা আগের কার্ডই পাবেন। তবে কবে থেকে পুরনোদের কার্ড দেয়া যাবে সে বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বিআরটিএ।
আরও দেখুন
ঈশা খাঁ: বীরত্বে অমর এক বীরের গল্প
সাদা পাথর আর নীল জলের দেশ ভোলাগঞ্জ
অব্যবহৃত সিমের মেয়াদ বাড়বে ৩০০ টাকায়
সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুহল হক জানান, পুরনো ঠিকাদার কার্ড এনেছেন। ধীরে ধীরে সঙ্কট কেটে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
ভিসা প্রসেসিং করে এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনেক বিদেশগামীরা ড্রাইভিং ভিসা পেলেও লাইসেন্স না থাকায় যেতে পারছে না। কেউ কেউ দালালের সহায়তায় মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও লাইসেন্স পেলেও সবাই তা পারছে না।
স্মার্ট লাইসেন্স কার্ডের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিলো ভারতের মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সকে। তাদের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা তৎপর ছিলেন। আজকের এমন পরিস্থিতিতে তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছেন সাংবাদিকরা।